জাতীয় নির্বাচনের আগে সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন এবং এনজিও সংশ্লিষ্ট একটি নতুন আইন দ্রুত পাসের উদ্যোগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই তড়িঘড়ি পদক্ষেপের পেছনে ‘অঘোষিত ভিন্ন উদ্দেশ্য’ থাকতে পারে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
শুক্রবার প্রকাশিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে তারা জেনেছেন যে সরকার দ্রুত দুটি আইন পাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে—একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত আইন। তার দাবি, জনগণের পূর্ণ ম্যান্ডেট ছাড়াই এমন গুরুত্বপূর্ণ আইন পাসের প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির মতে, নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে এসব আইনি পরিবর্তন আনা একটি প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে আরও সংকটে ফেলতে পারে। মির্জা ফখরুল বলেন, “এ ধরনের আইন নিয়ন্ত্রিত সংসদে নয়; বরং পরবর্তী জাতীয় সংসদে সুস্পষ্ট যুক্তি ও আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করাই সঠিক হবে।”
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, অস্থায়ী সরকারের এমন বিতর্কিত উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকেও সংকুচিত করতে পারে। তাই তিনি অবিলম্বে এসব পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও মনে করিয়ে দেন, ভিন্নমত দমনের প্রবণতা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং এসব সিদ্ধান্ত দেশকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেয়।
বিএনপি আশা করছে, সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমে জনগণের আস্থা রক্ষা করা হবে এবং যেকোনো আইন যথাযথ পর্যালোচনা ও আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে।
