জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় ঢাকায় স্থাপনের খসড়া অনুমোদনের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন ইসলামিক জনকল্যাণ পার্টির (ইজেপি) চেয়ারম্যান মুফতি আব্দুল হান্নান ফয়েজী। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় জাতিসংঘের এধরনের কার্যালয় সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, অযাচিত এবং দেশের স্বাধীনতা ও ইসলামি মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
মুফতি আব্দুল হান্নান ফয়েজী বলেন, “জাতিসংঘের অতীত কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারা মুসলিম বিশ্বে বারবার একতরফাভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আফগানিস্তানসহ বহু স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাদের নিরবতা বিশ্ববাসী দেখেছে। আজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢুকে তারা আরেকটি বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথ খুঁজছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের এই অফিস বসানো হলে দেশে সমকামীতা, ধর্মবিরোধী মতবাদ এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রচার বাড়বে। এটি বাংলাদেশের ইসলামী পরিবারব্যবস্থা ও সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি আরও বলেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, পশ্চিমা তহবিলে পরিচালিত কিছু এনজিও ও গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এই অফিস খোলার পেছনে সক্রিয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ধর্মপ্রাণ জনগণ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”
ইজেপি চেয়ারম্যান এ সিদ্ধান্তকে “জাতীয় আত্মঘাতী পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে জাতিসংঘের সঙ্গে চলমান সমঝোতা স্মারক বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এখানে মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতিসংঘ নয়, বরং দেশের আইন ও ইসলামি মূল্যবোধই যথেষ্ট। বিদেশি দাতা সংস্থার চাপে পড়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জনগণই তা প্রতিহত করবে।”
মুফতি আব্দুল হান্নান ফয়েজী সকল রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে এই বিষয়ে একযোগে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।