🏠︎ » সর্বশেষ » রাজনীতি » চাঁদাবাজি-হত্যাকাণ্ড: নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতিই আজকের মূল সমস্যা — মুফতি হান্নান ফয়েজী

চাঁদাবাজি-হত্যাকাণ্ড: নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতিই আজকের মূল সমস্যা — মুফতি হান্নান ফয়েজী

সম্প্রতি রাজধানীর মিডফোর্ড এলাকায় একজন ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো জাতি শোকাহত ও স্তব্ধ। একজন নিরপরাধ নাগরিকের উপর এমন নৃশংস হামলা সমাজের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়েরই প্রমাণ—মন্তব্য করেছেন ইসলামিক জনকল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি হান্নান ফয়েজী।

তিনি বলেন, “এই ঘটনা কেবল একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং পুরো জাতির বিবেকের উপর একটি নির্মম আঘাত। এটি আমাদের চিন্তাকে নাড়া দেয়—আমরা কোথায় যাচ্ছি?”

মুফতি হান্নান ফয়েজী আরও বলেন, সমাজে নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতিই আজকের এই অনৈতিক ও অমানবিক আচরণের অন্যতম কারণ। আমাদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যা মানুষকে আল্লাহভীতি ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি কোরআনের বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, “যে ব্যক্তি একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল।” (সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩২)।

চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করলেই হবে না, বরং সমাজের নৈতিক ও শান্তিপ্রিয় মানুষদের একত্রিত হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ‘অপরাধ প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করে, সন্দেহভাজনদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে হবে। আলোকসজ্জা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় এক ধরনের সক্রিয় সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

মুফতি হান্নান ফয়েজী বলেন, “আজই সময় এসে গেছে—আমাদের শিক্ষা ও সামাজিক কাঠামোকে নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে পুনর্গঠন করার। দ্রুত বিচার ও শাস্তির নিশ্চয়তা, সামাজিক সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া আমরা এই অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যেতে পারবো না।”

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, সমাজের প্রতি অনুরোধ, নৈতিকতা ও মানবিকতার ভিত্তিতে একটি সচেতন প্রজন্ম গড়ে তোলার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ